শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য এখনও ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে । এখনকার শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের লক্ষ্যে স্কুল/ কলেজে যায় । তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সার্টিফিকেট অর্জন করা এবং ভালো কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাওয়া । অপর দিকে শিক্ষার লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী, সুস্থ, দক্ষ ও সুন্দর মানসিকতা সম্পন্ন আলোকিত নাগরিক তৈরী করা । আমাদের উচিত শিক্ষার্থীদের উদবিগ্ন না হয়ে তাদেরকে নিত্য নতুন উদ্ভবনী শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তব সম্মত ও আধুনিক শিক্ষা প্রদান করা ।
আসুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাকঃ
একটা সময় ছিল যখন কেউ গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেত আমরা সবাই খুব খুশি হতাম। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই, এখন আর আগের মতো আমরা রিয়েক্ট করি না । আমাদের আফসোস হয় " ইস ! ছেলে/মেয়েটা কতই না কষ্ট করে এই রেজাল্ট করতে পেরেছে। হয়তো সে এই ভয়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছে যে, রেজাল্ট খারাপ হলে না জানি তার বাবা মা তাকে কত বকাঝকা করবে । তাই, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন, শিক্ষার্থীরা শুধু গোল্ডেন এর জন্য পড়াশুনা করবে না তারা শেখার জন্য পড়াশুনা করবে ।
এখনকার শিক্ষাব্যবস্থার ভয়াবহতার অন্যতম কারন হচ্ছে " নকল " । পরিক্ষার আগে বাড়ী থেকে মুখস্ত করে এসে পরীক্ষা হলে উত্তর দেয়াটাও এক ধরনের নকল । এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখতে পারে না, বরং পরীক্ষায় পাশ করার জন্য মুখস্ত করে । আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যেখানে শিক্ষার্থীরা মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়ালেখা করবে ।
আমাদের অনেকেরই এমন ধারনা রয়েছে যারা ভাবি, যে পড়াশুনায় ভালো তার বুদ্ধি বেশি আর যে পড়াশুনায় খারাপ তার বুদ্ধি কম । প্রকৃতপক্ষে এই ধারনাটা একদম ভুল । বুদ্ধিমত্তার একটি অংশ হচ্ছে পড়াশুনা । আমাদের উচিত পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য সহশিক্ষামূলক কাজেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেরনার সৃষ্টি করা ।
আমাদের দেশের পড়ালেখাটা আসলে মোটেও আনন্দময় নয় । আমরা আমাদের এই শিক্ষাব্যবস্থাটাকে যদি আনন্দময় করে তুলতে পারি তাহলেই আমাদের দেশ ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন হবে ।